Travel the world

Post Page Advertisement [Top]

ইসলাম কি শান্তির ধর্ম?
সকল প্রসংসা একমাত্র আল্লাহ্‌র।
ইসলাম ধর্ম গ্রহন করলে এবং এর নিয়ম নীতি মানলে অবশ্যই সেই ব্যক্তি এবং জাতি শান্তিতে থাকবে। কারন ইসলাম আল্লাহ্‌র মনোনীত দ্বীন।
কিন্তু আমাদের মধ্যে এ বিষয় নিয়ে কিছু ভুল ধারনাও আছে, যেমন ইসলামের ভ্রান্ত ধারনা এবং বিশ্বাস গুলি সংশোধনের ক্ষেত্রে যখন কোন কথা উঠে এবং পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত হয়ে উঠে তখন আমরা বলে থাকি ইসলাম শান্তির ধর্ম, তাই তোমরা তর্ক করো না। ইসলাম শান্তির ধর্ম তোমরা অস্ত্র হাতে নেয়ার কথা চিন্তাও করো না…ইত্যাদি।
সঠিক ইসলাম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ইসলাম যথেষ্ট কঠোর। যেমন চোরের শাস্তি রুপে হাত কাটা, মৃত্যুর শাস্তি মৃত্যু দন্ড ইত্যাদি। শির্‌ককে নির্মূল করার ক্ষেত্রে ইসলাম কঠোর ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন আব্দুল ওহ্‌’হাব কবর পূজা নির্মূল করার ক্ষেত্রে নিজ গোত্রের মুসলিমের সাথে জিহাদ করেছে। তাই বাতিলকে প্রতিহত করার ক্ষেত্রে বলা ঠিক নয় ইসলাম শান্তির ধর্ম তোমরা তর্ক করো না এবং অস্ত্রও হাতে তুলে নিয়ো না। এরুপ বলা হবে ইসলাম বহির্ভূত কথা। যা ইসলাম বলতে কখনও শিখায় নি।
আমাদের জিহাদের গুরুত্ব সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থাকা উচিত, নিম্নে এর গুরুত্ব আলোচনা করা হল:
নিঃসন্দেহে জিহাদের উদ্যোগ নেয়া ইসলামের প্রচারের ক্ষেত্রে ভাল ভূমিকা রাখে এবং অসংখ্য মানুষ আল্লাহ্‌র দ্বীনের দিকে আসে। অপরদিকে ইসলামের শত্রুদের প্রানে জিহাদের ভয় প্রবেশ করে।
Muslim World Magazine এ বলা হয়েছে: পশ্চিমা বিশ্বে ভয় থাকা আবশ্যক, এই কারনে যে যখন থেকে মক্কায় এর প্রথম উদ্ভব ঘটে তখন থেকে মুসলিমের সংখ্যা কোন দিন কমে নি, পক্ষান্তরে তা বেড়েই চলেছে এবং বিস্তার লাভ করছে। ইসলাম শুধু একটি ধর্মই নয় বরং এর একটি অন্যতম স্তম্ভ হচ্ছে জিহাদ।
রবার্ট বিন বলেছেন: অতীতে মুসলিমরা সারা বিশ্ব জয় করে ছিল এবং তারা আবারও তা করতে পারে।
পাশ্চাত্যের অধিবাসীরা ইসলামের ব্যাঙ্গ করে বলে যে ইসলাম বিস্তার লাভ করেছে তলোয়ারের দ্বারা।
থমাস আর্নল্ড তার বইয়ে এমন ভাবে লিখেছে ইসলাম সম্পর্কে, যেন ইসলাম থেকে জিহাদের মানুসিকতা উঠে যায় এবং প্রমান করেছেন যে ইসলাম তলোয়ার ব্যবহার করে বিস্তার লাভ করে নি, বরং এটি বিস্তার লাভ করেছে শান্তিপূর্ণ দাওয়াতি কাজের মাধ্যমে, কোন বল প্রয়োগ ছাড়াই।
মুসলিমরা তাদেরই উপর পাতা ফাঁদে পরে গিয়েছে। যখন মুসলিমরা অমুসলিমদের কাছ থেকে শুনে যে, ইসলাম প্রচার হয়েছে তলোয়ারের মাধ্যমে তখন তারা বলে, তুমি ভুল করছ, তোমাদেরই একজনের কাছ থেকে এর প্রত্যুত্তর শুন, এই টমাস বলেছে এই, এই।
মুসলিমদের মধ্যে যারা পরাজিত তারা এ মিথ্যার সাহায্যে ইসলাম রক্ষা করতে চায়। তাই তারা অস্বীকার করে যে ইসলাম বাস্তার লাভ করেছে তলোয়ারের মাধ্যমে এবং তারা বলে, ইসলামে জিহাদ নেই, শুধু আছে আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে। তাদের মতে ইসলামে জিহাদের মনোনিবেশ বা ইচ্ছা পোষণ করা বলতে কোন বিষয় নেই। এই ধারনা আলেমদের মতের বিরুদ্ধে যায়, শুধু তাই নয়, এই ধারনা কুরআন এবং হাদিসেরও বিপক্ষে যায়।
শায়েখ আল-ইসলাম ইবন তাইমিয়াহ্‌ বলেছেন তার মায’মুউ আল-ফাতাওয়া, ২৮/২৬৩।
সব কিছু করতে হবে আল্লাহ্‌র উদ্দেশ্যে এবং আল্লাহ্‌র বানী হচ্ছে মহান বানী। তাই কুরআনে বলেছেন:
আর আমি নাযিল করেছি লৌহ, যাতে আছে প্রচন্ড রণশক্তি (যুদ্ধশক্তি) এবং মানুষের বহুবিধ উপকার। এটা এজন্যে যে, আল্লাহ জেনে নিবেন কে, না দেখে তাঁকে ও তাঁর রসূলগণকে সাহায্য করে (জিহাদ করে বা অন্যান্য মাধ্যমে), আল্লাহ্‌ শক্তিধর, পরাক্রমশালী…[আল-হাদিদ, আয়াত-২৫]
তাই যারা আল্লাহ্‌র কিতাব থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবে তাদের লৌহর দ্বারা ফিরিয়ে আনা হবে, উদাহরন সরূপ বল প্রয়োগ করে। তাই ইসলামের শান্তি বিরাজ করে কুরআন এবং তলোয়ারের মাধ্যমে। যাবির ইবন আব্দুল্লাহ্‌ (রা:) হতে বর্ণিত: রাসূল (সা:) আমাদের আদেশ করেছেন এর দ্বারা আঘাত করতে, অর্থাৎ তলোয়ার দ্বারা, যারা এর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, অর্থাৎ কুরআন থেকে।
ইবন আল-কাই’ইম (রহ:) বলেছেন আল-ফারোসিইয়া, পৃষ্ঠা-১৮ এর মধ্যে:
আল্লাহ্‌ তাকে পাঠিয়েছেন, এর অর্থ হচ্ছে, রাসূল (সা:) কে পাঠিয়েছেন দিক নির্দেশনের কিতাব দিয়ে এবং দখলকারী তলোয়ার দিয়ে, যেন ভবিষ্যতে এক আল্লাহ্‌ প্রার্থনা করা হয়, কোন সহযোগী বা অংশীদার ছাড়া। আর তা সরবরাহ করেছেন তার তলোয়ার ছায়াতে এবং বর্শার মধ্যে। আল্লাহ্‌ তার ধর্ম ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন প্রমান এবং নিদর্শনের মাধ্যমে এবং তলোয়ার এবং বর্শার মাধ্যমে, দুটিরই সাহায্যে এবং যা একে অপর থেকে অবিচ্ছিন্ন।
কুরআন এবং সুন্নাহ্‌ থেকে এ হল কিছু প্রমান। এই প্রমান থেকে স্পষ্ট বুঝায় যে তলোয়ার হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম যার দ্বারা ইসলামের বিস্তার লাভ করেছে।
১. আল্লাহ্‌ বলেছেন:
আল্লাহ যদি মানবজাতির একদলকে অপর দল দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তবে (খ্রীষ্টানদের) নির্ঝন গির্জা, এবাদত খানা, (ইহুদীদের) উপাসনালয় এবং মসজিদসমূহ বিধ্বস্ত হয়ে যেত, যেগুলাতে আল্লাহর নাম অধিক স্মরণ করা হয়। আল্লাহ নিশ্চয়ই তাদেরকে সাহায্য করবেন, যারা আল্লাহর সাহায্য করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী শক্তিধর…[সূরা হাজ্জ, আয়াত-৪০]
আল্লাহ যদি একজনকে অপরজনের দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তাহলে গোটা দুনিয়া বিধ্বস্ত হয়ে যেতো। কিন্তু বিশ্ববাসীর প্রতি আল্লাহ একান্তই দয়ালু, করুণাময় (মানুষ জাতি, জ্বিন জাতি এবং অন্যান্য আরও যা কিছু আছে)…[সূরা বাকারাহ্‌, আয়াত-২৫১]
২. আল্লাহ্‌ আমাদের আদেশ করেছেন কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য এবং তাদের ভীতি প্রদর্শনের জন্য। তিনি বলেছেন:
আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে (ট্যাঙ্ক, প্লেন, মিযাইল, কামান) এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন প্রভাব পড়ে আল্লাহর শুত্রুদের উপর এবং তোমাদের শত্রুদের উপর আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপর ও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন…[সূরা আল-আন’ফাল, আয়াত-৬০]
ইসলাম যদি শুধু শান্তিপূর্ণ ভাবে বিস্তার লাভ করত তাহলে কাফেরদের ভয়ের কি থাকে? শুধু মুখের বানীর? সাহিহাইনে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা:) বলেছেন: “এক মাস দূরের যাত্রার দূরত্ব পর্যন্ত ভীতির দ্বারা আমাকে সাহায্য করা হয়েছে”, কাফেররা কি ভয় পাবে যদি তাদের বলা হয়, “মুসলিম হও, কিন্তু তুমি যদি না হও তাহলে তুমি নিজ ধর্ম পালনে স্বাধীন এবং যা খুশি তাই কর? অথবা তারা কি জিহাদের জন্য ভীত এবং ট্যাক্স আরোপের জন্য এবং মানহানীর ক্ষেত্রে? তা তাদের ইসলাম গ্রহন করাবে যেন তারা এই মানহানী থেকে মুক্তি পায়।
৩. যখন রাসূল (সা:) মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছেন, তার দাওয়াতের সাথে তলোয়ারও ছিল এবং তিনি তার নেতাদের একই কাজ করতে বললেন, তাই যখন মানুষেরা দেখল মুসলিমরা ইসলামের দিকে ডাকার দিকে কঠোর, তা বিভ্রান্তিকে বন্ধ করল।
আল-বুখারী এবং মুসলিমে বর্ণিত আছে, সা’আদ (রা:) বলেছেন: খায়বারের দিন রাসূল (সা:) বলেছেন: কাল আমি একজন মানুষের হাতে পতাকা তুলে দিব যার হাত দ্বারা বিজয় আসবে, যে আল্লাহ্‌ এবং তার রাসূলকে ভালবাসে, এবং তার রাসূল তাকে ভালবাসে। সাহাবীরা সারা রাত ভাবল কার হাতে পতাকা দেয়া হবে এবং তারা তার আশা করল। তারপর রাসূল (সা:) বললেন: আলী (রা:) কোথায়? বলা হল, তার চোখে ব্যথা হচ্ছে। তাই তিনি থুথু দিলেন তার চোখে এবং দুয়া করলেন তার জন্য এবং তিনি আরোগ্য লাভ করলেন, যেন তার কোন সমস্যাই ছিল না। তারপর তিনি তাকে পতাকা তুলে দিলেন এবং তিনি (আলী) বললেন: আমি কি তাদের বিরুদ্ধে যদ্ধ করব যেন তারা আমাদের মত হতে পারে? তিনি বললেন: যেতে থাকো যতখন না তোমরা তাদের ঘটিতে পৌছাও, তারপর তাদের ইসলামের দিকে ডাক এবং বলে দাও তাদের কি করা ফরয আল্লাহ্‌র জন্য, যদি আল্লাহ্‌ তোমাদের দ্বারা একজন মানুষকে হেদায়েত দান করেন তাহলে তোমার জন্য লাল উঠ (সব থেকে ভাল জাত) থাকা অপেক্ষা উত্তম হবে।
তাই ইসলামের এই দাওয়াতের সহগামী ছিল বল প্রয়োগ।
মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে: যখন রাসূল (সা:) কোন সেনাবাহিনীর পরিচালনার অথবা ভ্রাম্যমাণ দলের জন্য সেনাপতি নিযুক্ত করতেন, তিনি তাকে আদেশ করতেন আল্লাহ্‌কে ভয় করার জন্য, তার ক্ষেত্রে এবং তার সাথী মুসলিমদের ক্ষেত্রে, তারপর তিনি বলতেন: আল্লাহ্‌র নামে যুদ্ধ কর এবং আল্লাহ্‌ জন্য যুদ্ধ কর। যুদ্ধ কর তাদের সাথে যারা আল্লাহ্‌কে অবিশ্বাস করে, যুদ্ধ কর কিন্তু চুরি করো না যুদ্ধলব্দ সম্পদ থেকে (বিতরনের পূর্বে), বিশ্বাস ঘাতকতা অথবা বিকলঙ্গ করোনা। শিশুদের হত্যা করবে না। তোমরা তোমাদের মুশরেকীন শত্রুদের পেলে তিনটি বিষয়ে দাওয়াত দিবে এবং তা থেকে যেকোনো একটির সারা দিলে তা গ্রহন করবে এবং তাদেরকে তাদের মত ছেরে দিবে। তারপর তাদের ইসলামের দিকে ডাক, আর যদি তারা তার সারা দেয়, তা গ্রহন কর এবং তাদেরকে তাদের মত ছেরে দাও। যদি তারা অস্বীকার করে কিন্তু ট্যাক্স দেয়, তাহলে তারা তোমাদের সারা দিয়েছে, তাই তা গ্রহন কর এবং তাদেরকে তাদের মত ছেরে দাও। যদি তারা অস্বীকার করে তাহলে আল্লাহ্‌র কাছে সাহায্য চাইবে এবং তাদের সাথে যুদ্ধ করবে।
তাই আল্লাহ্‌র রাসূল (সা:) তার সেনাপতিদের বলেছেন কাফেরদের ইসলামের দাওয়াত দেওয়া অবস্থায় তাদের মাথার উপর তলোয়ার ঘুরাতে। যদি তারা মুসলিম হতে অস্বীকার করে, তাহলে তাদের ট্যাক্স দিতে হবে মানহানীর সাথে। যদি তারা তাও অস্বীকার করত তবে তাদের জন্য তলোয়ার ছাড়া আর কোন কিছু অবশিষ্ট থাকত না – যদি তারা অস্বীকার করে তবে আল্লাহ্‌র সাহায্য চেয়ে তাদের সাথে যুদ্ধ কর।
৪. রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন: আমাকে পাঠানো হয়েছে তলোয়ারের সাথে, যেন ভবিষ্যতে একমাত্র আল্লাহ্‌র প্রার্থনা করা হয় এবং আমার শক্তি দেয়া হয়েছ আমার বর্শার ছায়ার মধ্যে এবং মানহানী তাদের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে যারা আমার আদেশের বিপক্ষে এবং যারা তাদের সাদৃশ্যতা অবলম্বন করে তারা তাদের দল ভূক্ত। বর্ণনা করেছেন আহমেদ, ৪৮৬৯, সাহিহ আল-জামি’ই, ২৮৩১।
প্রকৃতপক্ষে তলোয়ার এবং ক্ষমতা ছিল একটি মাধ্যম যার দ্বারা ইসলামের বিস্তার ঘটানো হয়েছে, যা ইসলামের জন্য লজ্জাজনক নয়। পক্ষান্তরে এটা এক প্রকার শক্তি এবং গুন, কারন তা মানুষকে ইসলাম গ্রহন করাবে যার সুফল তারা পাবে এই জীবনে এবং পরকালেও। অনেক মানুষই বোকা এবং বিচক্ষন নয় এবং তাদের মধ্যে অভাব আছে জ্ঞানের, যদি তাদেরকে তাদের ইচ্ছাধীন ছেড়ে দেয়া হয় তবে তারা সত্যের থেকে অন্ধই থেকে যাবে, তাদের নিজেদের খেয়ালের মধ্যে এবং কামনা-বাসনায়। তাই আল্লাহ্‌ জিহাদের বিধান করেছেন তাদের সত্যের পথে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য এবং যা তাদের উপকৃত করবে। দ্বিধাহীন ভাবে বিচক্ষনতা বলে যে বোকাদের বাধা দিতে হবে যা তাদের ক্ষতি করবে এবং বাধ্য করতে হবে যা তাদের সুফল বয়ে আনবে।
আল-বুখারী বর্ণনা করেছেন, আবু হুরায়রা (রা:) বলেছেন: তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে…[আল-ইমরান, আয়াত-১১০], তিনি বললেন: তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, তোমরা তাদের গলায় শিকল পরাও যতখন না তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে। মানুষের গলায় কি শিকল পরানো যাবে জিহাদের মাধ্যম ছাড়া?
এটি এমন একটি বিষয় যার জন্য ইসলাম প্রসংসার যোগ্য, নিন্দা করার বিষয় নয়। পরাজিতদের উচিত আল্লাহ্‌কে ভয় করা, তা না করে তারা এর বিকৃতি করছে এবং দুর্বল করে ফলছে এই বলে যে “ইসলাম শান্তির ধর্ম”, হাঁ এটা শান্তির ধর্ম, কিন্তু তা আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্য কিছুর উপাসনার থেকে রক্ষার ক্ষেত্রে এবং আল্লাহ্‌র রীতিনীতিতে সমস্ত মানুষ জাতিকে মানতে বাধ্য করা ক্ষেত্রে। এটা আল্লাহ্‌র ধর্ম, কোন মানুষের বিধান নয় অথবা মানুষের চিন্তার ফসল নয়, তাই যারা এর প্রচার করবে লজ্জিত হবে না এর মূলনীতি প্রকাশ করতে, যা হচ্ছে সকল উপাসনা হতে হবে শুধু একমাত্র আল্লাহ্‌র জন্য। যখন মানব রচিত বিধান মানুষ অনুস্মরণ করে, সিস্টেম এবং আইন তাদের জীবন পরিচালনা করে যা মানুষের তৈরি, এই ক্ষেত্রে এক-এক মানব রচিত বিধান এবং সিস্টেম একে অপরের সাথে মিলে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে বিস্তার করতে পারে, যতক্ষন পর্যন্ত না তা অন্যের সীমা লংঘন করে। তাই একাধিক বিধান এবং আইন একে অপরের সাথে মিলে মিশে থাকতে পারে এবং চেষ্টা করে একে অপরকে ধংস না করতে। কিন্ত যেখানে আল্লাহ্‌র বিধান এবং আইন বিদ্যমান এবং এর পাশাপাশি মানব রচিত বিধান বিদ্যমান, তখন এই বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবে আলাদা এবং আল্লাহ্‌র বিধান যোগ্যতা রাখে মানুষকে মানুষের দাসত্তের বিধান থেকে মুক্ত করতে…
সাঈদ কুতব্‌ এর ফিকহ্‌ আল-দা’ওয়া, ২১৭-২২২।
ফাতায়া আল-লাজনাহ্‌ আল-দা’ঈমা (১২/১৪) –এ বলা হয়েছে:
যারা রাসূল (সা:) এর কথা শুনেছে এবং সারা দিয়েছে তাদের কাছে ইসলাম বিস্তার লাভ করেছে প্রমান এবং নিদর্শনের মাধ্যমে এবং যারা একগুঁয়ে এবং গোঁয়ার তাদের কাছে ইসলাম বিস্তার লাভ করেছে বল প্রয়োগ এবং তলোয়ারের মাধ্যমে যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা ভেঙ্গে পড়ত, একগুঁয়ে থাকত না এবং বাস্তবতায় ফিরে আসত।
এবং আল্লাহ্‌ই সব চেয়ে ভাল জানেন।

Bottom Ad [Post Page]

| Designed by Colorlib